বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন সুনামগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ৫ প্রার্থী। গত সোমবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনের বিএনপি প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুল হক আসপিয়ার বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুল হক আসপিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড আশা করেছিলাম। তা পাইনি। তিনি বলেন, তফশিল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনাকারণে গ্রেফতার ও হয়রানি করে। এরপরও বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহনের দিন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের পক্ষে ৯০ ভাগ ভোট জেনে প্রশাসন সকল মূল্যবোধ, বিবেক, নীতমালা উপেক্ষা করে মহাজোট প্রার্থীদের বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রিজাইডং অফিসারের সহযোগিতায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ভোট পৃথক বাক্সে রাখে। ভোট গণনার সময় রাতে ভরে রাখা বাক্স গণনার সময় গণনা করে। এছাড়াও অধিকাংশ কেন্দ্রে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে মহাজোট প্রার্থীদের প্রতীকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা ভোট দেয়।
সুনামগঞ্জ-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী নাছির চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ঐক্যফ্রণ্ট প্রার্থী শাহিনুর পাশা চৌধুরীও একই বক্তব্য দিয়েছেন।
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ৫ প্রার্থী নির্বাচন প্রত্যাাখান করে ৩০ ডিসেম্বরকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাদের আহমদ, রেজাউল হক, জেলা বিএনপি নেতা জুনাব আলী, আবুল কালাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর আলী, দিরাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা রাখাব উদ্দিন, আলী হোসেন মুরাদ প্রমুখ।